সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে যৌথভাবে এ গণশুনানি করে বিএসইসি। বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে শুনানি চলে সন্ধ্যা সোয়া ৫টা পর্যন্ত।
গণশুনানিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এতে সমাপনী বক্তব্য দেন বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। অনুষ্ঠানে বিএসইসির প্রতিনিধি হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
গণশুনানিতে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কীভাবে সংযুক্তি করা যায়, তা নিয়ে কমিশন কাজ করছে। এজন্য কমিশন প্রবাসীদের বিনিয়োগকে সহজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রবাসীদের জন্য নিটার মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এতে আগের ২ হাজার ৩০০ টাকার ব্যয় ৫৭৫ টাকায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বিও হিসাব খোলা সহজীকরণ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল বিও চালু করা হয়েছে। এখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে বিও হিসাব খোলা যাবে। এছাড়া বিদেশে লেনদেন করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল বুথ চালু করা হয়েছে। গত মাসে দুবাইয়ে একটি ডিজিটাল বুথ খোলার মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে অনেক দেশেই এ বুথ চালু করা হবে।
বিএসইসির এ কমিশনার বলেন, পুঁজিবাজার এখন অনেক উন্নত। এটাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কমিশন কাজ করছে। এই বাজারে প্রবাসীদের বিনিয়োগকে সাধুবাদ ও আমন্ত্রণ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে আইপিও আবেদন থেকে লেনদেন শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি আইপিওতে প্রবাসীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট কোটা রাখা হয়েছে। এটা যেন প্রবাসীরাই পায়, কমিশন সে লক্ষ্যে কাজ করছে।
গণশুনানিতে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারি, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন এবং ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম অংশগ্রহণ করেন।