সোমবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫(৬) ধারায় দেয়া ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’ সংশোধনের মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নামে এই পরিবর্তন এনেছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, তথ্য মন্ত্রণালয় যে কাজ করে নামে এর পুরো প্রতিফলন নেই। তথ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিতে তথ্য ছাড়াও একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যমের সংক্রান্ত কার্যাবলি। তাই নামে ‘সম্প্রচার’ শব্দটি যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
এর আগে গত ১ মার্চ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, স্বাধীনতার পর তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম ছিল ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।’ এখন আবার সেই নামে ফিরে যাওয়ার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রচারের বিষয়টি এ মন্ত্রণালয়ই দেখে। এখন যেমন তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আছে, এতে করে হচ্ছে কী, নানা রকমের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এক মন্ত্রণালয়ের চিঠি অন্য মন্ত্রণালয়ে চলে যাচ্ছে। আগে সম্প্রচারের বিষয়টি সীমিত ছিল, এখন সম্প্রচারের বিষয়টি ব্যাপক। টেলিভিশন-রেডিও-অনলাইনসহ নানাভাবে সম্প্রচার হচ্ছে। সে কারণে এ নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রণালয়গুলোর নাম ও কার্যপরিধি রুলস অব বিজনেসে উল্লেখ থাকে। এটি প্রণয়ন করে থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাই মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রস্তাব তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর এখন নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।