গত ৯ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সোমবার (১৫ মার্চ) সেদিনের দেয়া আদেশ প্রকাশ করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশের পরও যে ১২২ ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা সত্তা নির্ধারিত তারিখে হাজির হননি, পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক এবং সজাগ থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই ১২২ ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা সরবরাহ করতে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামানকে নির্দেশ দেয়া হয়।
পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং রাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে বলা হয়।
এছাড়া আদালতের বেঞ্চ কর্মকর্তার কাছ থেকে আদেশের অনুলিপি সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সত্তা এবং রাষ্ট্রকে তা জানাতে আসাদুজ্জামান খানের আইনজীবী মেজবাহুর রহমানকে নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ২১ জানুয়ারি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। অপর এক আদেশে আরও ছয়জনকে তলব করা হয়। এ নিয়ে মোট ২৮৬ জনকে তলব করা হয়েছিল হাইকোর্টে।
আদালতের তলবে গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ মার্চ পর্যায়ক্রমে তিন দিনে মোট ১৬৪ জন ঋণখেলাপি হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন। এর বাইরে বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ২৮৬ জনের মধ্যে ১২২ জন আদালতের আদেশের পরও হাজির হননি। আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে জাগো নিউজকে জানান সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
গত ২১ জানুয়ারি অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম ও কাজী এরশাদুল আলম।
আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ঋণগ্রহীতা ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত বছরের ২৩ নভেম্বর আদালতে দাখিল করা হয়। ওই ঋণগ্রহীতাদের তালিকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮৬ জনকে কারণ দর্শাতে বলেন আদালত।
গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণসহ ২৮৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানান মেজবাহুর রহমান।