ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা ও মানবতা এই তিনটি জিনিস যদি সংকটে থাকে তাহলে বাংলাদেশও সংকটে পড়বে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এখন সংকটে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ অবস্থার উত্তরণ না ঘটলে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবো না।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য কে হবে? তিনি একজন দলের নেতা হবেন নাকি একজন শিক্ষাবিদ হবেন। তার একটা আদর্শ থাকবে? নাকি তিনি আদর্শহীন হবেন? আমি মনে করি উপাচার্য নিশ্চয়ই আদর্শবান হবেন। রাজনৈতিক দলের কত বড় নেতা সেটা বড় কথা নয়। বরং তিনি কত বড় শিক্ষাবিদ সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা বিষয়ক কমিটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ছাত্ররা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মিছিল করে বলছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য। কেন বলছে? বুঝে বলছে? নাকি না বুঝে বলছে? এটা আজ আমাদের বোঝা দরকার।
তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টের শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য করেছে আমাকে। আমি বুঝিই না এই কমিটির কোনও মূল্য আছে কিনা এবং তারা কেউ হিসাবও করে না, এই কমিটির লোকেরা শিক্ষা নিয়ে কেউ কিছু বোঝে কিনা। এটা কোনোদিন বিবেচনা করে দেখাও হয় না।
অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার অধ্যাপক এম সাইদুর রহমান খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাস প্রমুখ