সোমবার (১৫ মার্চ) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকালী গ্রামের মৃত আলী আজ্জমের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সালাহ উদ্দিন পিটন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বাদী পিটন মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী।
এ মামলায় আলাউদ্দিনকে ৩৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। সেটাও মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে। মামলায় তার ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী সালাহ উদ্দিন পিটন (৪১) বাদী হয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিকেলে আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে ১০৫ জন সন্ত্রাসী মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা কামাল পাটোয়ারীসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে আহত করে।
এসময় মামলার ৩১-৫৫ নম্বর আসামিরা (৩২ নম্বর এমদাদ হোসেন ও ৩৬ নম্বর আলাউদ্দিন) গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ করে ভীতি সৃষ্টি করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি কাদের মির্জার অনুসারী সালাউদ্দিন পিটন কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তাই সোমবার পিটন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী ও নিহত আলা উদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে, এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন (৪০) নিহত হয়।
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরদিন শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।