আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
সংস্থাটি বলছে, এই টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বেঁধে মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার এই টিকা নিয়ে আবারও বৈঠক করবেন।
ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সিও একইদিনে বৈঠকে বসবে এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে তারা একটি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেবে। তবে এই সংস্থাটিও বলছে, টিকার ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ইউরোপে এই টিকা নেয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপে প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ এই টিকার এক ডোজ করে গ্রহণ করেছেন এবং তার মধ্যে ৪০টির মতো রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঘটনা জানা গেছে।
এসব ঘটনা সামনে আসার পর সোমবার জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই টিকার ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির টিকা বিষয়ক সংস্থার পরামর্শে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেন্স স্পান বলেন, ‘এই টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার যোগসূত্র পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এরপর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি থেকে নতুন সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত এই টিকার ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
এর ধারাবাহিকতায় টিকার ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও বুলগেরিয়াসহ বেশ কিছু দেশ।
তবে এসব দেশে টিকা ব্যবহার স্থগিত করার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, টিকা ব্যবহারের কারণে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি। যা আশা করা হয়েছিল, রক্ত জমাট বাঁধার হার তার চাইতে বেশি নয়। এই ঘটনা এখন পর্যন্ত নিবন্ধন পাওয়া সব টিকার ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।