বুধবার সকালে রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির প্রথম পর্বের কার্যক্রম শুরু করেন। এরপরে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা।
দ্বিতীয় পর্বে চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ড. এম নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ‘‘বঙ্গবন্ধু, একটি মহান স্বপ্নদর্শন: স্বাধীনতার স্থপতি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের’’ শীর্ষক জন্মশতবার্ষিকীর স্মরণে একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই সি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজি বাংলা বিভাগের ঢাকা অফিসের প্রধান ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি, বেইজিংয়ে চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজি বাংলা বিভাগের প্রধান ছাও ইয়ান হুয়া সুবর্ণা, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চাং ছিয়ং ওয়েবিনার আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
ভবিষ্যৎ দেখার এক গভীর দৃষ্টি ছিলো বঙ্গবন্ধু। অর্ধশত বছর আগেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন প্রযুক্তি, শিল্প উন্নত এক সমৃদ্ধ চীনকে। বন্ধুত্বের জন্য তার হৃদয় ছিলো উন্মুক্ত। জাতির জনককে নিয়ে এমনই নানা বিশ্লেষণ আর পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে তার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবিনারে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, চীনের হেনান প্রদেশের ঝাংঝু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, বেইজিং ফুয়াই হাসপাতালের বাংলাদেশি চিকিৎসক ডাঃ মোহাম্মদ মিসবাহুল ফেরদৌস, চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যয়নরত চাইনিজ শিক্ষার্থী আভা সু, অনুপমা ইয়াং এবং ওয়াং চিয়াওইয়াং নদী।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির লক্ষ্য ছিলো শোষিত মানুষ, তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার এক ক্যারিশম্যাটিক নেতা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় চীনকে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী, বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের সদস্য, চীনের সরকারি কর্মকর্তা, চীনা ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে অংশ নেন।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে দূতাবাসের নবগঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ২৫ জন শিশু তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেয় এবং তাদের সবাইকে পুরস্কার ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।