শনিবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে( সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আজ বাদ আসর বনানী সেনা কবরস্থানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
গত ১০ মার্চ জ্বর-সর্দি নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন রুহুল আলম চৌধুরী। পরে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ১৩ মার্চ (শনিবার) তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
তিনি ২০০৬ সালে প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যোগাযোগ, খাদ্য, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সামরিক একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আর্মড কোরে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মাড কোরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও এ কারের প্রথম পরিচালক ছিলেন। এছাড়া তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স ছিলেন।
এর আগে তিনি বিভিন্ন সময় ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, বিডিআর, মায়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান হন।