এতে বলা হয়েছে, মোদির এই সফরের মাধ্যমে প্রতিবেশী দুই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অবকাঠামো ও অন্যান্য কানেক্টিভিটি উদ্যোগ আরও জোরদার হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কানেক্টিভিটি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। দুই দেশের সম্পর্ক পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এসব পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্ক নির্মাণে বাংলাদেশের অবস্থান একটি প্রজাপতির মতো। এই প্রজাপতির মূল দেহ বাংলাদেশ; যার এক পাশের পাখা ছড়িয়ে আছে রাশিয়া ও মরিশাসের বিশাল ভৌগোলিক অঞ্চলজুড়ে এবং অন্য পাশে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে বাংলাদেশ অবাধ, মুক্ত, সুরক্ষিত এবং সম্ভাবনাময় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বৃহৎ অর্থনীতির প্রতিবেশী দেশটি থেকে সুবিধা পেতে পারে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করায় এর ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত মর্যাদা উদীয়মান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাড়বে।
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়ে চললেও বিনিয়োগ ও শিক্ষা সহযোগিতার ওপর আরও বেশি আলোকপাত করা উচিত। ভারতের উচিত বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা।
বিপুল লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ চিন্তাভাবনার পরীক্ষামূলক ক্ষেত্র হচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত অবশ্য আত্মনির্ভরশীলতার পথে এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তারপরও ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো ইফেক্ট’ নীতি নিয়ে বিশ্বের কাছে সেবা এবং পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে ভারত। ভারতের এই উদ্যোগ থেকে ক্রমবর্ধমান ক্রয় সক্ষমতাসহ অতিরিক্ত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথাযথভাবে পেতে পারে বাংলাদেশ।
এছাড়া বাংলাদেশ এমন এক প্রতিবেশী; যাকে নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন হচ্ছে ‘সবার সঙ্গে, সবার বিকাশ, সবার বিশ্বাস।’ নরেন্দ্র মোদির এই দর্শনের পরীক্ষাক্ষেত্র বাংলাদেশ। তার এই চিন্তা একটি বিশেষ কারণ হলো— এর উদ্ভব হয়েছে ভারতের বহু প্রাচীন দর্শন থেকে; যা বর্তমানে মানবকেন্দ্রিক বিশ্বায়নের অন্যতম একটি ধাপ।