করোনা মহামারিই সরকারকে এতটা ঋণ নিতে বাধ্য করেছে। বিশেষ করে হাজার হাজার কর্মীকে ছাঁটাই না করে তাদের বেতন দিয়ে যেতে হয়েছে, যা সরকারের কোষাগারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সঙ্গে ছিল সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ঘোষিত নানা প্রণোদনা ও কভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার রোধকল্পে নানা কর্মসূচি।
যদিও কিছু অর্থনীতিবিদ এর চেয়ে বেশি ঋণ গ্রহণ করা লাগতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
অফিস অব দ্য ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) বলছে, গত বছর এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে।
ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ ঋষি সুনাক এ নিয়ে বলেছেন, দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ঝাঁকুনিটা দিয়ে গেছে করোনাভাইরাস এবং এ সময় মানুষের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায় আমরা ৩৫২ বিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এ সময় সরকারকে ব্যয় ও করের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য ও জনসাধারণকে সহযোগিতা করতে সরকারকে ঋণ নিতে হয়েছে।
ওএনএসের সর্বশেষ সংখ্যা বলছে, গত মাসে শুধু বেকার মানুষকে সহযোগিতা করার পেছনেই সরকারের ব্যয় হয়েছে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড। কর থেকে সরকারের আয় কমে যাওয়ার তথ্যও তুলে ধরেছে ওএনএস। বিশেষ করে জ্বালানিসহ নানা ধরনের শুল্ক কমে গেছে। যদিও ব্যক্তিগত আয়কর আগের বছরের চেয়ে ৯০০ মিলিয়ন পাউন্ড বেড়েছে।
ওএনএসের তথ্যমতে, যুক্তরাজ্য সরকারের মোট ঋণ এখন ২ দশমিক ১৩ ট্রিলিয়ন পাউন্ড, যা যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক অর্থনীতির আকারের প্রায় সমান। দেশের ঋণ এখন মোট জিডিপির ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ১৯৬০-এর দশকের পর ঋণের হার এতটা বেশি কখনো ছিল না।