করোনায় স্কুল বন্ধ: রিডিং পড়তে অক্ষম ৭ কোটি শিশু

করোনায় স্কুল বন্ধ: রিডিং পড়তে অক্ষম ৭ কোটি শিশু
বিশ্বব্যাপী চলছে করোনাভাইরাস মহামারি। এছাড়া গত বছরের মার্চ মাস থেকেই সারা বিশ্বের সকল স্কুলও রয়েছে বন্ধ। আর এতেই বাধছে বিপত্তি। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বব্যাপী ১০ বছর বয়সীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শিশু লেখা পড়তে (রিডিং) অক্ষম হতে পারে। এমনকি কোনো বাক্য সঠিকভাবে বুঝতেও ব্যর্থ হতে পারে তারা।

দারিদ্র্য নির্মূলে কাজ করা ওয়ান ক্যাম্পেইন নামক এক সংস্থার নতুন এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

সোমবার (২২ মার্চ) সংস্থাটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ২০২১ সালে ৭ কোটি শিশু শিক্ষার্থী লেখা দেখে পড়তে এবং সঠিকভাবে কোনো বাক্য বুঝতে ব্যর্থ হতে পারে। বিশ্ব ব্যাংক, ইউনেস্কো এবং জাতিসংঘের সরবরাহকৃত জনসংখ্যাবিষয়ক তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের ১৭ শতাংশ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে একটা প্রজন্মের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশ্বব্যাপী গত বছরজুড়ে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বাড়ানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ছাড়াও বহাল ছিল অন্য অনেক বিধিনিষেধও। ইউনেস্কো বলছে, গত বছর বিশ্বের ১৮৮টি দেশের ১৭০ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এই সুযোগটিও বিশ্বের সকল স্থানের শিক্ষার্থীরা সমানভাবে পায়নি। প্রযুক্তি ও যথাযথ অবকাঠামোর অভাবের কারণেই অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি।

জাতিসংঘের ধারণা, দারিদ্র্যপীড়িত বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০ কোটি শিশু শিক্ষার্থী পুরোপুরি অনলাইন ক্লাসের বাইরে ছিল।

দরকার জরুরি পদক্ষেপ
ওয়ান ক্যাম্পেইন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ১০ বছর বয়সের মধ্যে মৌলিক স্বাক্ষরতার জ্ঞান থাকবে না; এমন শিশুর সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে বেড়ে ৭৫ কোটিতে গিয়ে ঠেকতে পারে। যা বিশ্বের প্রায় প্রতি দশজনের একজন।

ওয়ান ক্যাম্পেইনের গ্লোবাল পলিসি-বিষয়ক পরিচালক ডেভিড ম্যাকনায়ার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেন, কোনো শিশুর দশ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই কোনো বাক্য পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারা বা শেখানোটা বড় ধরনের অর্জন।

তিনি বলেন, ‘এর ফলে শিশুরা ছোট অবস্থায়ই নিজে থেকেই জীবনভর কোনো কিছু শেখা বা আবিষ্কারের দিকে ধাবিত হয়। অর্থাৎ এর মাধ্যমে শিশুদের মনে শিক্ষা, নতুন কিছু উদ্ভাবন, চাকরি খোঁজা, উপার্জন করাসহ অনেক কিছুর বিষয়ে সক্ষমতা গড়ে ওঠার বিষয়ে জড়িত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি জরুরি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করি, তাহলে আরও লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে আমরা পাবো- যারা একটি পৃষ্ঠায় থাকা কোনো শব্দের অর্থই বুঝবে না।’

সূত্র: আলজাজিরা

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া