২০২০ সালে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে যে মন্দার কবলে পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে বেশ বড় অংকের ঋণ নিতে হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এখন এ ঋণের পরিমাণ দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদন পেতে হবে।
জার্মান অর্থমন্ত্রী ওলাফ শল’জ বলেন, মহামারির যে প্রভাব আর্থিক খাতে পড়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, সেটুকুই ঋণ হিসেবে নেয়া হচ্ছে।
মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি বিভিন্ন খাতে ১১ হাজার ৪০০ কোটি ইউরোরও বেশি অর্থসহায়তা দিয়েছে। গ্যারান্টি লোন, সরাসরি সহায়তা ও স্বল্প কর্মঘণ্টা স্কিমে এসব সহায়তা দেয়া হয়। কিন্তু এখনো জার্মান অর্থনীতিতে ২৫ হাজার কোটি ইউরোর সংকট রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউট।
এখন করোনা মহামারির তৃতীয় ঝড় মোকাবেলা করছে জার্মানি। সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ইস্টার সানডে উপলক্ষে কড়া লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল। যদিও পরে তা বাতিল করা হয়। তবে এখনো অতি প্রয়োজনীয় নয়, এমন দোকান কিংবা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এগুলো খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বুন্দেসব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা চালু থাকলে এর প্রভাব পড়বে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে। অন্যদিকে লাগাতার লকডাউনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হতাশা বাড়ছে। জার্মান কমার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এভাবে চলতে থাকলে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।