বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনেক ন্যায্য দাবিকেই বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাত্তা দেননি। বর্তমান প্রশাসনের মেয়াদ শেষের দিকে আসার কারণেই নিজেদের দাবিগুলো নিয়ে তারা বেশ সোচ্চার হয়ে উঠছে। প্রশাসন ভবনে তালা দেয়ার কারণে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশাসন ভবনে ঢুকতে পারছেন না। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এ বিষয়ে সাধারণ কর্মচারি ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম ভুট্টু জানান, গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমরা বিভিন্ন ন্যায্য দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আসছিলাম। চাকরি স্থায়ীকরণ, হাউজ লোন সুবিধাসহ আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে বারবার আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে উপাচার্য আমাদেরকে জানিয়েছেন সমস্যাগুলো সমাধান করতে আরো দুই তিন মাস সময় লাগবে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য আর দায়িত্বে আছেন মাত্র দেড় থেকে দুই মাস। তাই তার কথায় আমরা আর আশ্বস্ত হতে পারিনি।
তিনি আরো জানান, আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সিনেট মিটিং অনুষ্ঠিত হতে দেব না এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে রাখবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। সব সমস্যা তো একবারে সমাধান করা সম্ভব নয়, তারপরও আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি।