শুক্রবার (০২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক এম. কাজি এমদাদুল ইসলাম এই নির্দেশনা জারি করেন।
একই সঙ্গে আরও ১০টি শর্ত আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সিলেট জেলা করোনার উচ্চ সংক্রমযুক্ত এলাকা হওয়ায় সব ধরনের জনসমাগম (রাজনৈতিক/সামাজিক/ধর্মীয় ও অন্যান্য) নিষিদ্ধ করা হলো। মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করতে হবে।
পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে অন্য জেলা হতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের গমনাগমন নিষিদ্ধ করা হলো।
হাট-বাজার, মার্কেট, শপিংমলসহ বিভিন্ন স্থানে কেনাবেচা রাত ৮টার পরিবর্তে ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে। অটোরিকশা ও বাসসহ সব গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা না করা। এসব স্থানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই যথাযথভাবে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোটিং সেন্টারসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে অবস্থান করা যাবে না। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা বা আড্ডায় নিষিদ্ধ করা যাচ্ছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না।
যে কোনো প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে আবশ্যিককভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহে ধারণ ক্ষমতার আর্ধেকের বেশি ক্রেতা প্রবেশ করানো যাবে না। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে সর্বদা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যাবিধি মেনে চলতে হবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব বিধি-নিষেধ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।