রোববার (৪ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল ইসলাম মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা ও সংগঠনের সেক্রেটারি ফিরোজ মাহমুদ হাসানের পক্ষে করা আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন পক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন তিনি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবীরা জানান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (বি-২১৯৪) সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশের মাধ্যমে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়।
এরপর ওই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে এর আগে আদালত ৩৮ জনকে নিয়োগ দেয়ার আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আবারও আদেশ দেন আদালত। আগের ৩৮ জন এবং আজকের ২৮ জনের বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়। এ নিয়ে বর্তমানে মোট ৬৬ জন হাইকোর্টের আদেশে চাকরি ফিরে পাবেন।
উল্লেখ্য, বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালে প্রথম মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৪ কর্মী। পরে বকেয়া পাওনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ৯৩টি মামলা করে তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান কর্মীরা।
সব মিলিয়ে ঢাকার শ্রম আদালতে ১০৭টি মামলা করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ১৪ কর্মী আরও ১৪টি মামলা করেন পাওনা টাকার জন্য।