গত মাস থেকেই দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সে কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো দিল্লি প্রশাসন। এর আগে গত শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের কথা এখনও ভাবা হচ্ছে না।
তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা এখনই লকডাউন জারির কথা ভাবছি না। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সোমবার দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৪৮ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১৫ জন। রাত্রিকালীন কারফিউয়ের সময় ট্রাফিক চলাচল বন্ধ থাকবে না। এছাড়া ই-পাস সাথে থাকলে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে।
মুদি দোকানের জিনিসপত্র, শাক-সবজি, দুধ এবং ওষুধ কেনার জন্য যেসব ব্যবসায়ীকে কয়েক ঘণ্টা ধরে যাতায়াত করতে হবে তাদের কাছেও ই-পাস থাকতে হবে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদেরও নিরাপদে চলাফেরার জন্য এই ই-পাস সাথে রাখতে হবে।
বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য মেডিক্যাল স্টাফদের চলাফেরার জন্য আইডি কার্ড সাথে রাখা বাধ্যতামূলক। গর্ভবতী নারী এবং জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন এমন লোকজন এসব নিয়মের বাইরে থাকবেন।
একদিনের ব্যবধানে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছে ভারতে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৯৭ হাজার মানুষ। একদিন আগেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক লাখের বেশি।
দেশটিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হচ্ছে মহারাষ্ট্র। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৮৮। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় ওই রাজ্যে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শেষে, অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যা ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।