রাজকীয় আদালতের বিবৃতি অনুযায়ী রাজপরিবারের সব ঐতিহ্য ও নির্দেশ মেনে চলবেন মর্মে একটি চিঠিতে সই করেছেন কয়েকদিন আগে বার্তা দিয়ে নিজের গৃহবন্দিত্বের কথা জানানো সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামজা।
চিঠিতে যুবরাজ হামজা আরও লিখেছেন, ‘আমি প্রিয় জর্ডান রাজতন্ত্রের সংবিধান মেনে চলার ব্যাপারে অঙ্গিকারাবদ্ধ থাকব এবং আমি সব সময় বাদশাহ এবং তার ক্রাউন প্রিন্সকে সাহায্য ও সহযোহিতা করে যাবো।’
বিবৃতি অনুযায়ী সোমবার বাদশাহর চাচা এবং অন্যান্য যুবরাজদের সঙ্গে আলোচনার পর সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন ওই চিঠিতে সই করেন। এর মাধ্যমে রাজপরিবারে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব নিরসনের ইঙ্গিত মিলছে।
যুবরাজ হামজা স্বাক্ষরিত চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকবে মাতৃভূমির স্বার্থের বিষয়টি। জর্ডান ও আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বাদশাহর প্রচেষ্টার পেছনে অবশ্যই আমাদের সবাইকে অবস্থান নিতে হবে।’
এরপর তার বিরুদ্ধে জর্ডানকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হওয়ার অভিযোগ তুলে রাজপ্রাসাদ। তিনি এ জন্য বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামজা অবশ্য তা অস্বীকার করেন।
এরপর জর্ডানের বাদশাহ ও সৎ ভাই আবদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গৃহবন্দি হামজা এক অবস্থানে অনড় থেকে বলেন যে, তার চলাচলে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত যেসব আদেশ দেওয়া হচ্ছে তা তিনি মানবেন না।
জর্ডান সরকার হামজার বিরুদ্ধে ‘দেশের নিরাপত্তা অস্থিতিশীল’ করার মতো একটি রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। আটক করে রেখেছে কমপক্ষে আরও ১৬ জনকে।
হামজা জর্ডানের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর বড় ছেলে। ১৯৯৯ সালে হামজাকে ক্রাউন প্রিন্স (উত্তরাধিকার) উপাধি দেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। কিন্তু ২০০৪ সালে তিনি আবার তার ক্রাউন প্রিন্স উপাধি কেড়ে নেন।
আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জর্ডানের বাদশাহর চেয়ারে আসীন হলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভিযোগ তুলে রাজতন্ত্রের অন্যতম প্রধান সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হন প্রিন্স হামজা।