হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন শহরে দেখা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চ। কিন্তু দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো এখনও লকডাউনের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।
বোলসোনারোর দাবি ভাইরাসের কারণে যতটা ক্ষয়ক্ষতি হবে তার চেয়ে লকডাউনের কারণে অর্থনীতির বেশি ক্ষতি হবে। বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেসব কড়াকড়ি আরোপ করেছে তিনি সেগুলোতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার নিজের বাসভবনের বাইরে সমর্থকদের সঙ্গে আলাপকালে বোলসোনারো কোয়ারেন্টাইনের সমালোচনা করে বলেন, এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিষন্নতা তৈরি হবে এবং মানুষ ঘরে থাকতে থাকতে শরীরে মেদ জমবে, বেকারত্ব বাড়বে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বোলসোনারো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। দেশটিতে শুধ মার্চেই ৬৬ হাজার ৫৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটের ৯০ শতাংশের বেশি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে। অনেক রাজ্যেই অক্সিজেন সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩১ লাখ ৬ হাজার ৫৮। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জন। ইতোমধ্যেই দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮৪ জন।