বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভায় আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। ভার্চুয়ালি ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬৬ লাখ টন সারের মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ও এমওপি ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সারের চাহিদা ছিল ইউরিয়া ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৫ লাখ, ডিএপি ১৫ লাখ টন ও এমওপি ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
ভার্চুয়াল সভায় বর্তমান সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষককে কোনো রকম কষ্ট করতে হয় না বলেও মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকবান্ধব ও কৃষকদরদী। তার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশে সার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকার একদিকে যেমন সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করছে অন্যদিকে তেমনি চার দফায় সারের দামও অনেক কমিয়ে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ- এ সারের জন্য কৃষককে এখন কোনোরকম কষ্ট করতে হয় না। অথচ এ সার ব্যবস্থাপনায় বিএনপি ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে দুবারই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। তখন সারের জন্য কৃষককে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছিল, সারের দাবিতে কৃষককে আন্দোলন করতে হয়েছিল; প্রাণ দিতে হয়েছিল।
সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী এমপি, সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই, সংসদ সদস্য মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলামসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।