টিকা সরবরাহ শুরুর ছয় সপ্তাহের মাথায় বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রায় এসব দেশকে ৩৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডোজ টিকা পৌঁছে দেয়া হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ডব্লিউএইচও এবং বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভি বৃহস্পতিবার যৌথভাবে এক বিবৃতি দিয়ে তাদের উদ্যোগে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহের এ হিসাব দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, টিকার সরবরাহ হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও ২০২১ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে বিশ্বের যেসব দেশ কোভ্যাক্স সুবিধা থেকে টিকার জন্য অনুরোধ করেছে তাদের করোনা টিকা সরবরাহ করা হবে।
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যেসব টিকা দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল সংস্থা দুটি। কিন্তু ভারতে তৈরি টিকার স্থানীয় চাহিদা বেশি হওয়ায় পর্যাপ্ত ডোজ পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কোভ্যাক্সের আওতায় যেসব টিকা দেওয়া হচ্ছে তাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের যৌথভাবে তৈরি করোনা টিকাও রয়েছে।
গরিব ও দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পরিচালিত এই প্রকল্পের দুই উদ্যোক্তা আরও জানিয়েছে, ‘টিকা সরবরাহের যে লক্ষ্যমাত্রা তাতে ২০২১ সালে কমপক্ষে দুইশ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি বা কোভ্যাক্স উদ্যোগের যৌথ নেতৃত্বে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপআই) ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি)।
আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক সম্পদ ব্যবহারের পাশাপাশি ধনী দেশগুলোকে একত্র করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় করোনার টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণের মাধ্যমে কোভ্যাক্স উদ্যোগে স্বাক্ষর করেছে অন্তত ১৮৪ দেশ।