প্রায় সাড়ে তিন মাস নিবিড় পরিচর্যার পর মাঠে মাঠে এখন চলছে বাঙ্গি ফল তোলার উৎসব। একদিকে খেত থেকে বাঙ্গি তুলতে চাষিদের চোখমুখে হাসির ঝিলিক অপরদিকে বিক্রি করতে গিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের চাষি হারুন সিকদার ও কামাল সিকদার বলেন, এ বছর কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং পোকার উপদ্রব কম থাকায় বাঙ্গির লাভজনক উৎপাদন হয়েছে।
এখন উৎপাদিত বাঙ্গির বাজার দর না পাওয়ায় কিছুটা শঙ্কিত তারা।
উপ-সহকারী এক কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছিলো। পুরো চৈত্র ও বৈশাখ মাসজুড়ে কৃষদের ফসল তোলা আর বিক্রির মৌসুম।
কিন্তু যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকা ও মূল বিক্রির সময়টাতে লকডাউনে পতিত হওয়ায় এখন কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছে চাষিরা। জমি তৈরি, সার প্রয়োগ, বীজ বপন ও পরিচর্যার সব কিছুতেই কৃষি বিভাগ পাশে থেকে সবধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।