মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিজিএমইএর পিআর অ্যান্ড মিডিয়া সেল কার্যালয়ে দুপুরে বিদায়ী পর্ষদের প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসানের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। বিদায়ী সভাপতি রুবানা হক দেশের বাইরে থাকায় দায়িত্ব হস্তান্তরে অনুপস্থিত ছিলেন।
নতুন সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে প্রথম সহসভাপতি পদে ওয়েল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়েল ডিজাইনারস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে সিহা ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মান্নান, সহসভাপতি (প্রশাসন) পদে ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি মো. শহীদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি (অর্থ) পদে ডিজাইনটেক্স নিটওয়্যারের এমডি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি পদে মিসামী গার্মেন্টসের পরিচালক মিরান আলী, সাদমা ফ্যাশন ওয়্যারের এমডি মো. নাছির উদ্দিন এবং এইচকেসি অ্যাপারেল লিমিটেডের এমডি রকিবুল আলম চৌধুরী দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
৪ এপ্রিল বিজিএমইএর ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী হয়। আর এ বি এম সামছুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ফোরাম ১১ পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনে সর্বাধিক ১ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ফারুক হাসান। তবে ফোরামের দলনেতা এ বি এম সামছুদ্দিন জিততে পারেননি। দলনেতা হারলেও ফোরামের হয়ে নির্বাচন করা বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর ছেলে নাভিদুল হক ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচিত ৩৫ পরিচালকের মধ্য থেকে সভাপতি ও ৭ সহসভাপতি পদে সমানসংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি ও সাত সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন পর্ষদ ২০ এপ্রিল দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সাত দিনের বিধিনিষেধের কারণে সেটি এগিয়ে আনা হয়। ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ আগামী দুই বছর বিজিএমইএর দায়িত্ব পালন করবে।
দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমরা বিধিনিষেধের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানার খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৈঠক করেছি। এ ছাড়া সদস্যরা যাতে বিজিএমইএর সেবা পেতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।