বুধবার (১৪ এপ্রিল) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সুষ্ঠুতদন্তের তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক আয়ান মাহমুদ।শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ। যাত্রাবাড়ী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় এজাহারনামীয় আসামি মুফতি শরিফউল্লাহ। ২০১৩ সালের ৬ মে যাত্রাবাড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল।
এর আগে, গত ১২ এপ্রিল ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে জ্বালাও-পোড়াও মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করে ডিবি ও র্যাব।
একইদিন সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হক কাণ্ডে হেফাজতের হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতায় পুলিশের করা মামলার প্রধান আসামিসহ সংগঠনের চার নেতাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। ওই ঘটনায় যতগুলো মামলা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতেই এই চারজন আসামি।
গ্রেফতাররা হলেন- রয়েল রিসোর্টে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশি কাজে বাঁধা এবং নাশকতার মামলার প্রধান আসামি সোনারগাঁও উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি ইকবাল হোসেন (৫০), সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের আমির মহিউদ্দিন খান (৫০), সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি শাহাজাহান ওরফে শিবলী (৪৩) ও সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম (৪৯)।