অবশ্য এতটা বাড়লেও তা প্রত্যাশার চেয়ে কম। এর আগে রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণে এ বৃদ্ধি ১৯ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। মূলত করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে নেওয়া ব্যাপক কর্মসূচির কারণে এ সংকোচন হয়েছিল।
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস বলছে, ‘জাতীয় অর্থনীতি একটি ভালো সূচনা করেছে। আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কারণ, কোভিড-১৯ মহামারি এখনো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এখনো উচ্চতর অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে।’
চীনের পরিসংখ্যান বিভাগ প্রকাশিত অন্য অর্থনৈতিক অবস্থাগুলোও প্রত্যাবর্তনের দিকেই ইঙ্গিত করছে। অবশ্য গত বছর এত কমেছিল, যার কারণে এ বছর সব সূচকেই বৃদ্ধির হার বেশি দেখা যাচ্ছে। শিল্প খাতে উৎপাদন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। খুচরা বিক্রয় বেড়েছে ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ।
তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ আর্থিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ধীর হয়ে যাবে। বাণিজ্যিক সক্ষমতা ও অভ্যন্তরীণ শিল্প কার্যক্রম হয়তো বছরের শেষ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির এ ধারা বজায় রাখতে পারবে না। এর মূল কারণ অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করতে সে রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত বছর করোনার কারণে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি চীনের। এ বছর প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ ধরেছে দেশটি। তবে করোনার এ সময়ে চীনের মতো এত দ্রুত কোনো দেশই পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়নি। জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২১ সালে চীনই হবে বিশ্বের সমন্বিত মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি এ বছর জিডিপিতে উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চলেছে। এর আগে বিশ্বব্যাংক আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও একই রকম পূর্বাভাস দেয়।