বুধবার (২১ এপ্রিল) খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি, বিআরটিএ'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এসময় দুর্যোগ, সংকটে লিপ সার্ভিস না দিয়ে বিএনপিকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি।
বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন জনকল্যাণের রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন। এদেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিএনপি ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে তারা অপপ্রচার আর অন্ধ সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি নেতিবাচক ধারা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতায় পুষ্ট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ ও সমাজের গৌরবের দিনগুলো তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে। জনগণের সমর্থন না পেয়ে ক্ষমতায় যেতে খোঁজেন অন্ধকারের চোরাগলি। জাতির সোনালী অর্জনগুলো কালিমালিপ্ত করে তারা পরাজিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। যা এখন আর সম্ভব নয়। জনগণও তা আর হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনমুখী রাজনীতি এবং উন্নয়নের রাজনীতি কথা-সর্বস্ব দলগুলোকে সংকটে ফেলেছে। তাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের পথরেখায় ফেলেছে অন্ধকারের ছায়া।
লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষ এবং ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষদের সহায়তা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার পাবে ৫ হাজার টাকা করে। এ জন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের নোয়াপাড়া থেকে যশোরের দিকে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তাই জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, রাস্তা শুধু করলেই হবে না, তার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।
খুলনা-মোংলা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাপবিদ্যুুৎ কেন্দ্রসহ মোংলা পোর্টের কারণে এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা খুবই জরুরি বিধায় ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্ষার সময় হাত গুটিয়ে বসে না থেকে চলমান কাজের তদারকির পাশাপাশি নতুন কাজগুলোর টেন্ডার আহ্বানসহ প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিতে হবে। যাতে বর্ষার পর পরই কাজ শুরু করা যায়।