এছড়াও তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংক ও বীমা) গুরুত্ব অপরীসিম এবং এই দুই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জরিত।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলারে বলেছে,প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা বা সিনিয়র অফিসার বা প্রবেশনারি অফিসার বা ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার স্ত্রী বা স্বামী বা সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে তার বাবা-মা ৫০ লাখ টাকা পাবেন।
দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো নির্দেশনার বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ট্রেইনি অ্যাসিস্টান্ট অফিসার বা সমমান হতে এক ধাপ এর পূর্ব পর্যন্ত পদমর্যাদার কর্মকর্তারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন পাবেন ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর স্টাফ ও সাব স্টাফ (যে কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগকৃত বা নিয়োজিত) ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার আত্মীয়-স্বজন পাবেন ২৫ লাখ টাকা।
এদিকে আমদানি ও রপ্তানির জন্য ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবী সম্পাদন ও গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেয়ার জন্য নন লাইফ বীমা অফিস এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখবার নির্দেশনা প্রদান করে আইডিআরএ।
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধিনে ব্যাংক ও বীমা এই দুইটি প্রতিষ্ঠান এক যোগে কাজ করে আসছে। একই মন্ত্রাণালয়ের এক বিভাগকে এই মরনব্যাধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুজনীত কারণে সকল তফসিল ব্যাংক প্রতিষ্ঠান সমূহ ৩ (তিন) ক্যাটাগরিতে আর্থিক সুরক্ষা (বীমা সুবিধা) ঘোষনা করলেও আর একটি বীমা বিভাগে আইডিআরএ সহ সকল বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ ও কতিপয় গুরুর্ত্বপূর্ণ বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল পর্যায়ের (অফিয়াল ও উন্নয়ন বিভাগে) কর্মরত কাউকেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বীমা সুবিধা ঘোষনার আদেশ দেয়া হয়নি বলে দাবি করছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিআইডিএস) এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মো. মাহমুদুল ইসলাম।
করোনাকালীন সময়ে অতিরিক্ত বীমা সুবিধাদানের বিষয়টি পূণর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিআইডিএস) এর পক্ষ হতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।