ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টিকা হাতে পাওয়ার পর সেগুলোর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সামনের মাসগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি শুরু করবে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অ্যাস্টাজেনেকার টিকা মজুত রয়েছে। যদিও এটি গণহারে ব্যবহারের অনুমতি এখনও দেয়নি দেশটির নীতি নির্ধারকরা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে টিকার প্রচন্ড চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তা মজুত করে রাখায় সমালোচকরা মার্কিন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
গত মাসে মেক্সিকো ও কানাডাকে ৪০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উভয় দেশই এই সংস্থার টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া করোনায় বিপর্যস্ত ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির কারণেও দেশটির সঙ্গে মার্কিন চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাগাভাগি করতে বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ রয়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউস জানায়, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার পরই আসন্ন সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া আরও পাঁচ কোটি টিকা বর্তমানে উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি জানিয়েছেন, বাইরের দেশে পাঠানোর আগে এফডিএ কর্মকর্তারা সেসব টিকার মান পরীক্ষা করে দেখবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ভারতে করোনা টিকা তৈরির কাঁচামাল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। আর তাই বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত দেশটির জন্য উপকারী বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি