বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ২০ মার্চ হলগুলো খালি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ আছে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে। এর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস ও দুটি সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা হলেও আটকে আছে সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪ মে থেকে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। ২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কোনো পরীক্ষা হবে না। ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভা ডেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তখন বলেছিলেন, বিশেষজ্ঞ মত অনুযায়ী, করোনা টিকার প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর ইমিউনিটি হয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সরকারের প্রতি অনুরোধ ও বিনম্র আহ্বান জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হয়। সেটি হলে ১৭ মে থেকে তাঁরা শিক্ষার্থীদের হলে উঠাতে পারেন।
এরপর করোনাভাইরাসের টিকা পেতে ২৪ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত ওয়েব লিংকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। কিন্তু ১৭ এপ্রিলের পর দুই সপ্তাহ পেরোতে চললেও এখন পর্যন্ত করোনা টিকা নিশ্চিত করা যায়নি, এ ব্যাপারে কোনো হালনাগাদ তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না।