মুসল্লি ও ওমরাহ পালনকারীরা করোনা টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই পবিত্র মসজিদুল হারামে প্রবেশ করেন। এছাড়াও করোনা সংক্রমণরোধে পবিত্র মসজিদুল হারামের ভেতরে-বাইরে ও সবখানে— আমল ও ইবাদত-বন্দেগিতে সামাজিক দূরত্ব বজিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি মাস্ক পরিধানসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়।
অন্যদিকে ওমরাহ পালনকারীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নিশ্চিত করা হয়। ফলে কাবা ঘরের পাশে বিধি মেনে ওমরাহ পালন ও তাওয়াফের সহজ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ পথও তৈরি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র রমজান মাসে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী খোলা রয়েছে। এর আগে রমজানবিষয়ক এক পরিকল্পনায় এ কথা জানিয়ে ছিলেন পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালক শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস।
রোববার (২৮ মার্চ) করোনা মহামারীর সময়ে পবিত্র রমজান মাসের বিশেষ পরিকল্পনা শীর্ষক এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালক শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস এবং দেশটির ভারপ্রাপ্ত তথ্য মন্ত্রী মাজিব বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবিসহ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
শায়খ আল-সুদাইস বলেন, করোনা চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওমরাহ পালন অব্যাহত থাকবে। পবিত্র মসজিদুল হারামে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে। চলমান মহামারিতে আল্লাহর মেহমানদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহ
ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের করোনা ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করে তিনি আরও বলেন, ‘নিজের ও অন্যদের জীবনের সুরক্ষার জন্য মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে আসা সবাইকে করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার অনুরোধ করছি।’
মক্কার মসজিদুল হারামের পূর্ব প্রান্তরসহ পাঁচটি স্থান সালাত আদায়ের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তাছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে পরিকল্পনাধীন স্থানও অন্তর্ভূক্ত থাকবে। রমজান মাসজুড়ে ওমরাহ যাত্রীদের জন্য তাওয়াফ করার সুযোগ থাকবে।
জমজমের বোতল সরবরাহ
রমজান মাসে জমজমের ওয়াটার কুলারের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। তবে প্রতিদিন জমজম পানির দুই লাখ বোতল সরবরাহ করা হবে। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে ইফতারি হিসেবে কেবল পানি ও খেজুর সঙ্গে রাখা যাবে। কিন্তু সেগুলো কাউকে বিতরণ করা যাবে না।
মসজিদের ভেতরে বা বাইরে ব্যক্তিগত খাবার গ্রহণ করা যাবে না। তবে রোজা পালনকারীদের কাছে ইফতারি বিতরণের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়াও পবিত্র দুই মসজিদের মুসল্লিদের সেবায় ১০ হাজার কর্মচারী কাজ করবে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওমরাহ স্থগিত করা হয়। গত বছর পবিত্র রমজানসহ অন্য মাসেও দুই মসজিদে প্রবেশে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। দীর্ঘ ৭ মাস পর গত অক্টোবর থেকে পুনরায় ওমরাহ চালু করা হয়।