চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার পর টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউব তাকে ব্যান করে দেয়। সে সময় তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ‘কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম’ প্ল্যাটফর্মের কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, এতে ব্যবহারকারীদের লাইক, মন্তব্য এবং ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করার ব্যবস্থা রয়েছে।
ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যাসন মিলার চলতি বছরের মার্চে বলেছিলেন, ট্রাম্প একটি নতুন ‘কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্ম’ প্রকাশ করবেন। প্ল্যাটফর্মটি বড় আকারে তৈরি করা হবে। তবে মঙ্গলবার (৪ মে) এক টুইটে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়া নয় নতুন ওয়েবসাইট প্রকাশ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে অচিরেই আরও তথ্য জানানো হবে।’
ট্রাম্পের নতুন কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছে ক্যামপেইন নিউক্লিয়াস। সেখানে গত বছরের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একাধিক ফেসবুক ও টুইটারের পোস্টও দেখা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি প্রকাশের আগে মঙ্গলবার (৪ মে) ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে। ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে ব্যান করা হবে না কি অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে সে বিষয়ে বুধবার (৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় সিদ্ধান্ত আসার কথা রয়েছে। বিবিসি জানায়, ট্রাম্পকে অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ৭ দিনের মধ্যে আবার চালু করা হবে। এছাড়া ইউটিউব বলেছে, সহিংসতার আশঙ্কা কমে এলে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে ব্যান করে টুইটার। সেখানে ৮ কোটি ৮০ লাখ ব্যবহারকারী ট্রাম্পকে অনুসরণ করতেন।
সূত্র: বিবিসি।