শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করেন ইমাম, খতিবসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
বায়তুল মোকাররম মসজিদে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম মুসল্লি দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগ থাকায় মুসল্লিদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি লক্ষণীয় ছিল।
জাতীয় মসজিদ ছাড়াও ঢাকার কলাবাগান, পান্থপথ, আজিমপুর, মিরপুর, বাড্ডা, বনশ্রী, সেগুনবাগিচা এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিরা জানান, জুমার নামাজের পর মোনাজাতে নানা প্রসঙ্গে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করা হয়।
রমজান মাসের শেষ জুমার খুতবায় ঈদুল ফিতরের যাকাত, ফেতরা নিয়ে আলোচনা করেন ইমাম ও খতিবরা।
জুমাতুল বিদার খুতবায় উচ্চারিত হয় ‘আলবিদা, আল বিদা, ইয়া শাহরা রামাদান। অর্থাৎ বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান।’ জুমা শেষে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। মসজিদের ইমাম ও খতিবরা করোনার সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের সুরক্ষা, অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য লাভ, মহামারি পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান দোয়া পরিচালনা করেন। পবিত্র রমজান ও জুমাতুল বিদার অছিলায় মহামারি করোনা থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন।
এর আগে মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি চেয়ে শুক্রবার ‘জুমাতুল বিদা’য় মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করার জন্য অনুরোধ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।