ওপেকের তেল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করার খাতিরে ১৯৭৫ সালে গঠিত পাশ্চাত্যের সাতটি ধনী দেশের সাম্প্রতিক আলোচনার বিষয় ছিল চীন, রাশিয়া, জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনাভাইরাস মহামারী।
বরিস জনসনের জন্য তৈরি এক প্রতিবেদনের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক নিকোলাস স্টার্ন বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার জন্য পশ্চিমের ধনী অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য জি৭ একটি ভালো সুযোগ। শূন্য নিঃসরণ এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক বিশ্ব বর্তমান সময়ে আমাদের প্রতি সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সুযোগ সরবরাহ করে।
স্টার্ন বলেন, মহামারীর প্রভাবে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক প্রস্তাবনাটি মূলত বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার প্রকল্পে বিনিয়োগ কর্মসূচি। এ কর্মসূচি শারীরিক, মানবিক, প্রাকৃতিক ও সামাজিক সব ধরনের মূলধনকে বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জি৭ভুক্ত দেশগুলোর একটি সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত, যাতে জলবায়ু পরিবর্তন খাতে বার্ষিক ২ শতাংশ হারে জিডিপি থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়। এ অনুযায়ী দেশগুলো চলতি দশকে কভিড-পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবে। একই সঙ্গে আগামী দশকের জন্য আরো ১ লাখ কোটি ডলার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করতে হবে অবস্থার উন্নতির জন্য।
এমন পরিস্থিতিতে জি৭ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি কড়া বক্তৃতা দেয়ার চেয়ে বেশি কিছু করার আহ্বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য বিশ্বাসযোগ্য উপায় নিয়ে জি৭-এর আলোচনা করা উচিত।
একই সঙ্গে ২০২০ সালের পরে জি৭-এর সব জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর থেকে ভর্তুকি অপসারণ এবং ২০২৫ সালের পর থেকে একেবারেই বন্ধ করে দেয়া উচিত। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি শক্তি পরিবর্তনের লক্ষ্যে নেতৃত্বদানের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর বৈদেশিক বিনিয়োগ বন্ধ এবং ন্যূনতম ২১ শতাংশ করপোরেট মুনাফা কর বিবেচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতি ও জলবায়ুসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।