যার ফলশ্রুতিতে চাকরি খোয়াতে হয় রমেশ পাওয়ারকে। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার ফের নারী দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ডব্লিউভি রমনের।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় নারী দলের দায়িত্ব নেন রমন। তার অধীনেই ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলে ভারত। তবে গত দুই বছরে দল সেভাবে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতেই পারেনি।
অবশেষে করোনার মধ্যেই গত মার্চে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজ আয়োজন করে ভারত। যে সিরিজে ওয়ানডেতে ৪-১ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে প্রোটিয়াদের কাছে হার মানে স্বাগতিকরা। তাতেই চাকরিটা গেছে রমনের।
নতুন করে হেড কোচ হওয়া রমেশ পাওয়ার প্রথমবার ২০১৮ সালের জুলাইয়ে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর তার চাকরির মেয়াদ বাড়ে, পাওয়ারের অধীনেই ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলতে যায় ভারত। যেখানে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে দলটি।
ওই বিশ্বকাপেই বড় ধরনের ঝামেলা তৈরি হয়েছিল সিনিয়র ক্রিকেটার মিথালি রাজ আর কোচ রমেশ পাওয়ারের মধ্যে। মিথালি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, পাওয়ারের আচরণে তিনি হতাশ। পাওয়ার প্রত্যুত্তরে জানান, মিথালি হুমকি দিয়েছিলেন, ওপেনিংয়ে খেলতে না দিলে অবসর নিয়ে নেবেন।
ওই বিতর্কিত ঘটনার পর পাওয়ারের আর চুক্তির মেয়াদ বাড়েনি। হারমানপ্রিত কাউর আর স্মৃতি মান্ধানার মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে করে পাওয়ারকে দায়িত্বে রাখা হয়। কিন্তু সেটা হয়নি।
সেই পাওয়ারকেই আবার হেড কোচের পদে ফিরিয়ে এনেছে বিসিসিআই। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে দুটি টেস্ট এবং ৩১টি ওয়ানডে খেলেছেন এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।