গত ১০ মে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মরুভূমির শহর বানি ওয়ালিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের ছবি দেখে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার সম্ভাবনায় লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স গাজী মোঃ আসাদুজ্জামান কবির লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন।
পরবর্তীতে ১৬ মে দূতাবাস হতে লিবিয়ার সেনাবহিনীর ত্রিপলী অঞ্চলের সদর দপ্তরে উদ্ধারকৃত ১০ জন বাংলাদেশির সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিরা হলেন- মাদারীপুরের মোঃ জায়েদ বিশ্বাস, আদিনান টিটু, জুয়েল হাওলাদার, এনামুল শেখ, ইমন হোসেন ও শহিদুল হাওলাদার, কিশোরগঞ্জের আলী আসগর, রাহিম হাসান, শরীয়তপুরের মোঃ হিমেল এবং ফরিদপুরের শাহজালাল মুন্সি। বর্তমানে তারা সেনাবাহিনীর শেল্টার হাউজে অবস্থান করছেন।
উদ্ধারকৃতরা জানান, তারা সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজীতে আসেন। কিন্তু স্থানীয় পাচারকারীদের সহায়তায় বেনগাজী থেকে ত্রিপলী আসার সময় পথিমধ্যে তারা অপহৃত হন এবং এরপর থেকে মুক্তিপণের জন্য অপহরনকারীরা তারেদকে নির্যাতন করে আসছিল।
দূতাবাসের ধারণা, তারা সবাই মানবপাচারকারীদের সহায়তায় সাগর পথে ইতালি গমণের উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় আগমন করেছেন।
উদ্ধারকৃতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় নেওয়ার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দূতাবাস জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে লিবিয়ায় জিম্মি ২৪ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারের জন্য দূতাবাস হতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হয় এনং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে তথ্য আদানপ্রদান করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে লিবিয়ার সেনাবাহিনী কর্তৃক বানি ওয়ালিদ শহরে উপরোক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। বানি ওয়ালিদ শহর মরুময় দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সেখানে বিভিন্ন মানবপাচাকারী এবং অপহরণকারী চক্র সক্রিয়। এই সকল চক্র সাধারণত লিবিয়ার মরুভূমির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদেরকে পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে পাচারের সময় অপহরণ করে। নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে।
লিবিয়ায় অপহৃত অন্যান্য বাংলাদেশিদের উদ্ধারে লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।