বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রি ও উপহার হিসেবে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে ভারত। কিন্তু এক মাস আগে সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে বিকল্প উৎস থেকে বিকল্প ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে বিপাকে পড়ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।
কোভ্যাক্স উদ্যোগে সহ-নেতৃত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সোমবার ভারতের ভ্যাকসিন না পাওয়ায় সৃষ্ট ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য দেশের উৎপাদনকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র তিনটি জানায়, ভারতে টিকাদান এখন অগ্রাধিকার পাবে। কারণ, আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যুও হচ্ছে রেকর্ড সংখ্যায়।
রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের সমর্থনে এক সূত্র বলেন, সব দেশকে সরকারিভাবে আমাদের জানানোর দরকার নেই। কারণ, এটি করতে আমরা বাধ্য নই। এটি আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং কয়েকটি দেশকে বলে দেওয়া হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে রফতানির প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা না করার জন্য।
এই বিলম্বের বিষয়ে যেসব দেশকে অবহিত করা হয়েছে সেগুলোর নাম বলেননি ওই সূত্র।
অপর দুটি সূত্র জানায়, রফতানি পুনরায় শুরুর নির্দিষ্ট সময় ভারতের পরিস্থিতির কারণে বদলে যেতে পারে। এটি নির্ভর করছে কত দ্রুত ভারত দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে পারে।
ভারতের ভ্যাকসিন রফতানি তদারকির দায়িত্বে থাকা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে কোনও সাড়া দেয়নি।
ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের এক মুখপাত্র জানান, এখন মূল মনোযোগ হলো দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। এর আগে জুন মাস থেকে ভ্যাকসিন রফতানি পুনরায় শুরুর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল কোম্পানিটি।
অক্টোবরে ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোভ্যাক্সের সহ-নেতৃত্ব গ্যাভি জানায়, সেরামের কাছ থেকে মে মাসের শেষ দিকে অন্তত ১৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো ভারতেই থাকবে।