মঙ্গলবার (১৮ মে) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া অনুমোদন দিতে এনইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় এনইসি চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেরেবাংলা নগর এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ ছাড়া সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিব বৈঠকে সংযুক্ত হন। পরে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, এডিপিতে খাত হিসেবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এ খাতের বরাদ্দ প্রায় ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা (২৭.৩৫%)। অপরদিকে একক প্রকল্প হিসেবে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এ প্রকল্পে ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এডিপিভুক্ত মোট প্রকল্পের সংখ্যা এক হাজার ৫১৫টি বলে মন্ত্রী জানান।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য বছরের মত এবারও দেশজ সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস তথা জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা কৌশল এবং লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছে।
এডিপিতে দারিদ্র বিমোচন, জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃজন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি, শিল্প ও সেবাখাত প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, আইসিটি শিক্ষার উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষয়ক্ষতি পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকল্প, সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক প্রকল্প ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) বাস্তবায়িত নতুন প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি’র সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।