বুধবার (১৯ মে) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার কীভাবে কোভিড-১৯ টিকা কিনছে, সে-বিষয়ক তথ্য জনস্বার্থমূলক। এই তথ্য জাতীয় নিরাপত্তার মোড়কে গোপন করা উচিত নয়।
অ্যামনেস্টি বলেছে, ‘মহামারির সময়ে জনস্বাস্থ্য খাত কীভাবে কাজ করছে, সে বিষয় খুবই জনস্বার্থমূলক। রোজিনা ইসলাম কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম তুলে ধরেছেন। তাঁর গ্রেপ্তার ভিন্নমত বা সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে কালাকানুনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতার ওপর আরও বড় আঘাতের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে ইঙ্গিত করে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোজিনা ইসলামকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আমলযোগ্য ফৌজদারি অপরাধের সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এই শঙ্কা তৈরি করেছে যে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবেদন করার কারণেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ওই ধরনের প্রমাণ না থাকায় কর্তৃপক্ষের উচিত হবে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া।
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনে গত সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাঁকে সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে শাহবাগ থানায় এনে তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় এখন কারাগারে আছেন রোজিনা ইসলাম।
বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পরিচিত মুখ রোজিনা ইসলাম সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরেছেন।
রোজিনা ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর এক টুইটে এই ঘটনাকে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।