এ পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।
দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়েছে, এরইমধ্যে প্রতিটি রাজ্যেও চিঠি পাঠিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও রোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে ইতোমধ্যে দেড় হাজারের বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। ৯০ জনের মৃত্যুও হয়েছে এই রোগে। পশ্চিমবঙ্গেও পাঁচজনের শরীরে এই রোগের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাল গাজা
রাজস্থান এবং তেলঙ্গানা এর আগেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করে ছিল। এখন সব রাজ্যকেই একই পদক্ষেপ নিতে বলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মহামারি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে রাজ্যগুলোকে চিঠি পাঠান ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, মিউকরমাইকোসিসের শনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা সব সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলোকে মেনে চলতে হবে।
কী এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস?
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমায়কোসিস একটি বিরল ফাঙ্গাল সংক্রমণ (rare fungal infection)৷ এটি শরীরে দেখা দিলে ৫৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। জানা গিয়েছে, কোভিড সংক্রমণ থেকে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও তার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। তখনই এই জাতীয় ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধে। যেসব রোগীকে দীর্ঘদিন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের শরীরের এই জাতীয় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে।
এই রোগের উপসর্গ:
যদি এই ছত্রাকের সংক্রমণ হয় তবে গালে ব্যথা হতে পারে। এটি গালের একপাশে বা উভয় দিকেই হতে পারে, এটিই এই ছত্রাকের সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ। পরে এই সংক্রমণের কারণে, মুখের ক্ষতও তৈরি হতে পারে। এগুলো ছাড়াও এই সংক্রমণ ত্বক সম্পর্কিত আরও অনেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।