আজ সোমবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ নিয়ে টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, অনেক মানুষই লকডাউনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। তাই জনগণ যাতে এই নির্দেশনা মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে তিনি রাজ্যগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এতে আরো বলা হয়েছে, ভারতে এখন পর্যন্ত ৪১৫ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে রোববার ভারতজুড়ে ‘জনতা কারফিউ’ আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
তাতে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যায়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ ডাকে সাড়া দেয় মানুষ। এরপরই আজ থেকে জোরপূর্বক লকডাউন আহ্বান করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি জনগণকে এই নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, দয়া করে আপনারা নিজেকে বাঁচান। আপনার পরিবারকে বাঁচান। নির্দেশনা অনুসরণ করুন গুরুত্ব দিয়ে।
দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা ও ব্যাঙ্গালোরসহ ভারতের ৮০টি জেলা পুরোপুরি লকডাউনে রয়েছে। এর অর্থ হলো অত্যাবশ্যকীয় সেবা বাদে আর কোনো কাজে মানুষ বাইরে বেরুতে পারবে না। মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও হরিয়ানাসহ বিভিন্ন রাজ্যে রেল, মেট্রো, আন্তঃবাস চলাচল ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, সিনেমা হল সব বন্ধ রয়েছে। শুধু খোলা আছে দুধ, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা। আবার অনেক রাজ্যে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এর অধীনে চার জনের বেশি মানুষকে একত্রিত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা এর লঙ্ঘন করবেন তাদের বিরুদ্ধে ধারা ১৮৮ এর অধীনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই শাস্তি হতে পারে এক মাসের জেল অথবা ২০০ রুপি জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ড। যদি মানবজীবন ও এর নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করা হয় তাহলে এই শাস্তি ৬ মাসের জেল অথবা ১০০০ রুপি জরিমানা হতে পারে।
যারা বিদেশ থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিন লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিছু রাজ্য। অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন পরিচালনা করলেও ১৪৪ ধারার লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্সের মতে, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪১৫ জন। মারা গেছেন ৭ জন। দু’জন মারা গেছেন মুম্বাইয়ে।