তাই কোনো ধরনের ওজর বা অপারগতা ছাড়া কোনো নামাজ সময় চলে যাওয়ার পর আদায় করা— জায়েজ নেই। কেউ ইচ্ছাকৃত সময়মতো নামাজ আদায় না করলে, তাকে গুনাহগার হতে হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৬)
নিতান্ত ভুলবশত, অপারগ হয়ে কিংবা অতি বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে— পরবর্তী সময়ে এই নামাজ আদায় করে দিতে হয়। আর এই নামাজ আদায়কে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে, সে নামাজের কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে, সেটার কাজা আদায় করতে হয় না।
পরে কাজা আদায় করতে হলে কখন কীভাবে আদায় করতে হয়, তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
♦ কোনো ওজর বা অপারগতার কারণে নামাজ সময়মতো আদায় করতে না পারলে উক্ত অপারগতা খতম হওয়ার পর ওই নামাজের কাজা আদায় করা ফরজ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬২)
♦ ফরজের কাজা ফরজ আর ওয়াজিবের কাজা ওয়াজিব। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬২, ১৮১৬)
♦ সুন্নত আর নফলের কাজা করবে না। তবে সুন্নত বা নফল নামাজ আরম্ভ করার পর ভেঙে গেলে তা কাজা করা আবশ্যক। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৩৩, তিরমিজি, হাদিস : ৬৬৭)
♦ যদি ফজরের সুন্নত ফজরের ফরজসহ কাজা হয়ে যায়, তবে সূর্য হেলার আগে আগে ফরজের সঙ্গে সুন্নতও কাজা করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৭৫)
♦ যদি কাজা নামাজ বেশি হয় তখন কাজা পড়ার সময় প্রতিটি নামাজকে পৃথকভাবে কাজা করতে হবে। যদি নির্ধারণ করা কষ্টসাধ্য হয়, তবে এভাবে নিয়ত করবে যে আগে ছুটে যাওয়া জোহরের নামাজ পড়ছি বা পরে ছুটে যাওয়া জোহর বা আসর পড়ছি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১)