বৃহস্পতিবার (১৭ মে) জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রকৃতির সুরক্ষায় ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। এই বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় প্রকৃতির সুরক্ষা জরুরি।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় বলেন, ‘প্রকৃতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় তহবিল অনেক বিশাল মনে হলেও ধরিত্রী ও আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখার জন্য এটা আসলেই খুবই প্রয়োজন। আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের জীবনমান, আমাদের কর্মসংস্থান, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, আমাদের নির্মাণ করা ঘরবাড়ি, আমরা যা খাই, সেসব খাবার ও পানি—সবকিছুই আমাদের প্রকৃতির কার্যকর ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল।’
প্রতিবেদনের সহলেখক ও ইউএনইপির জলবায়ু তহবিল শাখার প্রধান ইভো মুলদার রয়টার্সকে বলেন, প্রকৃতির রক্ষায় সবার এগিয়ে আসার এখনই উপযুক্ত সময়। তবে এই পদক্ষেপ অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই হতে হবে। এটা করা অসম্ভব কিছু নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃতির সুরক্ষার জন্য ২০২০ সালের বার্ষিক তবহিল ছিল ১৩৩ বিলিয়ন ডলার। এসব তহবিলের ৮৬ শতাংশ সরকারি খাত থেকে এসেছে। আর বাকি অর্থ এসেছে বেসরকারি খাত থেকে। ইউএনইপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি অর্থ সাধারণত জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনাঞ্চল ও জলাভূমি সংরক্ষণ, পুনরুৎপাদনশীল কৃষি ও জলাধার সংরক্ষণে ব্যয় হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।