বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ‘ডব্লিউএইচআইএল কোয়ালিটি কনফারেন্স সিজন-১’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগ জুম অ্যাপে ওই কনফারেন্সের আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।
এ সময় তিনি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের তৈরি ‘টেকনিক্যাল ব্রোসিউর’ উদ্বোধন করেন। রেফ্রিজারেটর তৈরিতে কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের সফলতা, এফিসিয়েন্ট টেস্টিং ফ্যাসিলিটি এবং অটোমেটেড কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রসেসসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ওই ব্রোসিউরে।
কনফারেন্সে প্রতিটি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং নিশ্চিতকরণ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া, সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সার্ভিস ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমার স্যাটিসফেকশন নিশ্চিত করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
কনফারেন্সে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রেজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান।
আরও বক্তব্য রাখেন- প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, ওয়ালটন এসির সিইও তানভীর রহমান, রেফ্রিজারেটরের সিইও আনিসুর রহমান মল্লিক, করপোরেট সেলস বিভাগের প্রধান সিরাজুল ইসলাম, টিভির সিইও মোস্তফা নাহিদ হোসেন, রেফ্রিজারেটর বিভাগের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইউসুফ আলী, আরঅ্যান্ডডি বিভাগের চিফ কো-অর্ডিনেটর তাপস কুমার মজুমদার, কমপ্রেসর আরঅ্যান্ডডি বিভাগের প্রধান মীর মুজাহেদীন ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও সোহেল রানা, কম্প্রেসরের সিইও রবিউল আলম, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও আল ইমরান, কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান তাহসিন হক, নির্বাহী পরিচালক শাহজালাল হোসেন লিমনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মেড ইন বাংলাদেশ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এভাবে উন্নত বিশ্বের বাজারগুলোতে পৌঁছাতে রপ্তানির বৃহৎ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ড হতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের মধ্যে উঠে আসতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। ওয়ালটন কখনোই কোয়ালিটিতে ছাড় দেয়নি। পণ্য উৎপাদনে এক্সট্রিম লেভেলের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। গত কয়েক বছরের তুলনায় ওয়ালটনের পণ্যের মান এখন অনেক উন্নত। পরিবর্তনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ওয়ালটন পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমার ফিডব্যাক অনেক বেশি পজিটিভ। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এখন অনেক উঁচুতে। এই কৃতিত্ব কোয়ালিটি কন্ট্রোল টিমের। আমাদের নতুন-পুরাতন সব ধরনের ক্রেতাদের ধরে রাখতে হবে পণ্যের উচ্চমান এবং সেবা দিয়ে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।’