তিনি সিলেট নগরের শামীমাবাদ আবাসিক এলাকায় থাকতেন। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সাতহাল গ্রামের সোহরাব আলীর স্ত্রী। বিষয়টি সোমবার দিনগত মধ্যরাতে নিশ্চিত করেছেন আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর।
এর আগে ১০ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশির সঙ্গে শাসকষ্টে ভোগার পর গত ২০ মার্চ লন্ডনফেরত ওই নারীকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হন। এরপর রোববার দিনগত ভোররাতে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ৬১ বছর বয়সও ওই নারী মারা যান।
পরে ওই দিনই প্রবাসী ওই নারীর মুখের লালাসহ মরদেহ থেকে আলামত সংগ্রহ করে আইইডিসিআর। এরপর সিলেট সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে (মানিকপীর টিলা) তাকে সিলেটের সিভিল সার্জনের উপস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা নির্দেশনা ও সরকারের সংক্রমণবিধি অনুযায়ী দাফন করা হয়।
একই সাথে মারা যাওয়া সেই নারীর পরিবারের সবাইকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় জেলা প্রশাসন। এরপর রোববার বিকেলেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা সিলেটের বাসা তালা দিয়ে সবাই পালিয়ে যান।