কিন্তু চারদিক থেকে এত এত দাবি ওঠার পরও অলিম্পিক নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আয়োজক জাপান এবং ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। এর একটাই কারণ, অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়ার অর্থ বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতির শিকার হওয়া। এই ক্ষতির বিষয়টাই মেনে নিতে পারছে না জাপান এবং আইওসি।
তবে ক্রমাগত দাবির মুখে অলিম্পিক পেছানোর সিদ্ধান্তই আসতে পারে। বিষয়টা এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে জাপান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর এবং তাকেই এই দায়িত্ব নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে পথ দেখাচ্ছেন আমাদের। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন মিত্র। টোকিও অলিম্পিক অনুষ্ঠানের জন্য জাপানে দুর্দান্ত আয়োজন করেছেন। অলিম্পিকে ব্যাপারে প্রকৃত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।’
এর আগে অলিম্পিক পেছানোর ক্রমাগত দাবি তুলেছেণ অনেক অ্যাথলিটও। এ নিয়ে জাপান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানান, অলিম্পিক আয়োজনের ব্যাপারে অ্যাথলিটদের সুস্থতা ও নিরাপত্তাই গুরুত্ব পাবে। টোকিওতে অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা ২৪ জুলাই।
শিনজো আবে জাপানের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অ্যাথলিটদের সুস্থ থাকার বিষয় পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হবে কি না।’ একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ব এখন অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি নয়।’