দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এখনই জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যাবে না। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা সরবরাহকারীরা টিকাদান কর্মসূচিতে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবেন।
এর আগে, মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের সিনোভ্যাকের করোনাভ্যাক টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এর ফলে বিশ্বের দারিদ্র দেশগুলোতে করোনা টিকার যে সংকট তৈরি হয়েছে তা অনেকাংশে লাঘব হবে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের তিন মাস আগেই সিঙ্গাপুর সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা টিকার প্রথম চালানের ২ লাখ ডোজ আমদানি করেছিল। কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে এই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পৌঁছায়।
সিনোভ্যাক বায়োটেকের করোনাভ্যাক টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কার্যকারিতার হার সর্বনিম্ন পাওয়া গেছে। ব্রাজিলে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর চালানো এই টিকার ট্রায়ালে দেখা যায়, ভ্যাকসিনটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মাত্র ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ কার্যকর; যা বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নির্ধারিত কার্যকারিতার সর্বনিম্ন হারের তুলনায় সামান্য বেশি।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার স্বাস্থ্য কর্মীর ওপর চালানো পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতার হার ৯৪ শতাংশ মিলেছে বলে দাবি করেছে সিনোভ্যাক। চীনা এই ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি বলছে, তাদের তৈরি করোনাভ্যাক টিকা উপসর্গজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯৪ শতাংশ কার্যকর। এছাড়া করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি ৯৬ শতাংশ এবং মৃত্যু ৯৮ শতাংশ কমাতে সক্ষম।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।