আগামী মাস থেকে এটি ব্যবহারের অনুমতির কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এটিই শিশুদের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম ভ্যাকসিন।
সংস্থার প্রধান জুন রায়ান শুক্রবার বলেন, আমরা ১২-১৫ বছর বয়স্কদের দেহে পরীক্ষা (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) করে দেখেছি, তাদের দেহে ফাইজারের টিকা পুরোপুরি নিরাপদ।
চলতি সপ্তাহেই ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, ফাইজারের টিকা বি.১.৬১৭ প্রজাতির করোনাভাইরাস (ভারতে পাওয়া করোনার প্রজাতি হিসেবে যা পরিচিত) প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী। যারা ফাইজারের টিকা নিয়েছিলেন, তাদের শরীরে বি.১.৬১৭ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে হয়েছে বলেও পাস্তুরের গবেষকেরা জানিয়েছিলেন।
ট্রায়ালের পর ফাইজারের টিকাকে অনুমোদন দিল ব্রিটেনের মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান জুন রেন বলেন, এই টিকা সুরক্ষা, গুণগত মান ও কার্যকারিতার প্রত্যাশা পূরণ করেছে। বাচ্চাদের এই টিকার দুটি ডোজ দিলে করোনা রোধ করা যাবে। ব্রিটেনের টিকাদান বিষয়ক সরকারি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে, কবে থেকে শিশুদের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এ মাস থেকেই শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। ব্রিটেনেও শিগগিরই শিশুদের টিকাদান শুরু হবে।
ব্রিটেনই পশ্চিমের প্রথম দেশ, যেখানে করোনার টিকাদান শুরু হয়েছিল। ডিসেম্বর থেকেই চলমান টিকাদান কার্যক্রমে ফলে দেশটিতে এখনর পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের ৫০ শতাংশই টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। আর মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। ব্রিটেনে মূলত ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।