বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, আগের নিয়মেই রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে রেস্টুরেন্ট এবং এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, মিনি মার্কেট-সুপার মার্কেট, টুরিস্ট দোকান এবং খুচরা পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান রাত ৯টা পর্যন্ত ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যেমন- মিউজিয়াম, থিয়েটার ইত্যাদি রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এছাড়া টেলি ওয়ার্ক বাধ্যতামূলক থাকছে।
অন্যদিকে ১০টি মিউনিসিপ্যালিটি- আলবুফেরা, আলকান্ট্রা, আরোদা দা ভিনোস, কাসকাইস, লওলি, পারেন দে কৌরা, সানতারাই, সেরতা, সিসিমব্রা ও সিনট্রা এলাকাকে সতর্ক করা হয়েছে, পরিস্থিতি এরকম থাকলে হয়ত সেখানেও পরবর্তী পর্যায়ে বর্তমান পরিস্থিতি ফিরে আসবে।
পর্তুগালে ৯ জুন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫২২ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ হাজার ৩৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৯ জন। বর্তমানে ২৩ হাজার ৯৬৬ জন আক্রান্ত অবস্থায় আছেন।
সর্বশেষ গত ৬ জুন পর্যন্ত ভ্যাকসিন বুলেটিন অনুযায়ী, মোট ৬৩ লাখ ১ হাজার ৫৮৫ জন করোনার টিকা নিয়েছেন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি। এরইমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৫ জন ও পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন ২৩ লাখ ১৫ হাজার নাগরিক।
বর্তমানে চল্লিশ এবং এর বেশি বয়সের নাগরিকদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২০ জুন থেকে ত্রিশোর্ধ্ব নাগরিকরা করোনার টিকার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। পর্তুগাল সরকার আশা করছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিককে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারবে।