আগামী রবিবার থেকে হাইকোর্টের এসব বেঞ্চ বসবেন। হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চে সংখ্যা বাড়িয়ে বৃহষ্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্বাক্ষরে আদেশ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি এসব বেঞ্চ গঠন এবং এসব বেঞ্চের বিচারিক এখতিয়ার নির্ধারণ করেছেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে সারা দেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে জরুরী বিষয় শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে মাত্র চারটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। তবে এসব আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানির সুযোগ রাখা হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এই বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৫ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম চালু হয়। এর আগ পর্যন্ত সাধারণ ছুটির মধ্যে ছিল আদালতগুলো। তবে ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরুর দিকে ৩৫/৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমন কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২/৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এসময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আর সারা দেশে অধস্তন আদালত পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হয়। অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতেই নিয়মিত আদালত কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ৪টি বেঞ্চ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর থেকে আইনজীবীরা বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বার বার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আইনজীবীরা দাবি জানালেও প্রধান বিচারপতি একবারে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়াননি। পর্যায়ক্রমে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়েছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ৯টি বেঞ্চ বাড়ানোর কারণে এখন বেঞ্চের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০টি।