মঙ্গলবার এক ব্লকপোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি নিজেই। ব্লগপোস্টে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে পৃথিবীর বেশিরভাগ সম্পদ থাকা ভালো নয়, বরং জনহিতকর কাজে তা ব্যয় করা উচিত- এই বিনীত বিশ্বাস থেকেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমি এবং ড্যান (ম্যাকেঞ্জির স্বামী) নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগেও গত ডিসেম্বরে ৪০০ কোটি ডলার দান করেছিলেন এই দম্পতি। নারী অধিকার সংস্থা, খাদ্য সহযোগিতা প্রতিষ্ঠান ও কৃষ্ণাঙ্গদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দান করা হয়েছিল সেই অর্থ।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কট নিজেও যথেষ্ট অর্থ-বিত্তের মালিক। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী এই নারীর মোট সম্পদের পারিমান ৫৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায় বর্তমনে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তার অবস্থান ২২ তম।
২০১৯ সালে জেফ বেজোস-ম্যাকেঞ্জি স্কটের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে। এরপর ড্যান জুয়েটের সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি।
১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু করে আ্যামাজন। কোম্পানিটি গঠনে সে সময় জেফ বেজোসের পাশে ছায়ার মতো থেকে সহযোগিতা করে গেছেন ম্যাকেঞ্জি। বিবাহবিচ্ছেদের পর আদালতের আদেশে অ্যামাজনের ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন তিনি।
বিবাহবিচ্ছেদের পর ম্যাকেঞ্জি উইল করেন, নিজের সম্পদের অধিকাংশই তিনি জনহিতকর কাজে দান করবেন। তার বর্তমান স্বামী ড্যান জুয়েট তাতে স্বাক্ষরও করেছেন।
এ বিষয়ে একবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ড্যান জুয়েট লিখেছিলেন, ‘আমি বিশ্বের সবচেয়ে মহানুভব এবং দয়ালু মানুষদের একজনকে আমি বিয়ে করেছি। মানবকল্যাণমূলক উদ্যোগে তার অকাতরে দান করার যে প্রবণতা, তাকে আমি ভালবাসি এবং আমার সৌভাগ্য, আমি এই উদ্যোগে তার সঙ্গে থাকতে পেরেছি।’
সূত্র: বিবিসি