রোববার (২০ জুন) থেকে রাজ্যটিতে কোন ধরনের লকডাউন থাকছে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে আগামী ১ জুলাই।
শনিবার এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। এর আগে ভারতের মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে শিথিল করা হয়েছিল লকডাউন।
যদিও কোভিড পরিসংখ্যান দেখে মনে হচ্ছে রাজ্যটিতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও কমেনি। শুক্রবার মোট স্যাম্পল নেয়াদের ১ দশমিক ১৪ শতাংশের শরীরে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৪শ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। করোনায় ভারতে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের মধ্যে তেলেঙ্গানার অবস্থান ১২তম।
এদিকে আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত অনিবার্য। গণটিকাদানের মাধ্যমে দ্রুত টিকা কার্যক্রম শেষ করতে হবে, এটাই ভারতের জন্য এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
যেসব রাজ্য এখনই লকডাউন শিথিল করছে তাদের সতর্ক করেছেন রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত থেকে ভারতকে শিক্ষা নিতে হবে। লকডাউন তুলে নেয়া হলে মানুষের সমাগম বাড়বে, ফলে দ্রুত ছড়াবে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস।
এর আগে সম্প্রতি রণদীপ বলেছিলেন, টিকাদানের ফলে তৃতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা কম হবে ভারতে। যদিও শুক্রবার মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিগুণ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে গণটিকাদান কার্যক্রমে আরও গতি বাড়ানোর তাগিদ তাদের।
ভারতে এখন পর্যন্ত জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ পেয়েছেন করোনার দুই ডোজ টিকা। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির ১শ ৮ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করেছে ভারত সরকার। যদিও এ সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কি না, তানিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে অনেকে।
সূত্র: এনডিটিভি